অনুগল্প - লেখার অভ্যাস হোক এই কোয়ারেন্টাইনে

কোয়ারেন্টাইনের এই সময়ে আমাদের সকলের উচিত ঘরে থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখা এবং নিজের পরিবারকে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা করা। ঘরে বসে নিজের সময়কে অযথা না কাটিয়ে আসুন একটু লেখার অভ্যাস গড়ে তুলি,গল্পপড়ার অভ্যাস গড়ে তুলি।   নিজের মত করে ১৫০ শব্দে গল্পলিখুন আর আপনার বন্ধুকেও বলুন গল্প লিখতে এতে করে আপনিও আর ৫ জনকে গল্প পড়া আর লেখারপ্রতি আগ্রহী করে তুলছেন।


গল্প লিখে মেইল করতে পারেনঃ  alfahim604@yahoo.com 

অথবা ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে হ্যাশট্যাগ দিন  
#Story_in_Quarentine
#StayHome

সকলের লেখা অনুগল্পসমুহ পড়ুন এখানে...
____________________________________________________________


লেখকঃ ফাহিম মমিন

রমণির এক হাতে স্টেফেন কিংস্ এর ফেমাস হরর জনরার বই, দি সাইনিং এবং অন্য হাতে সিগার।পাশের টেবিলে রাখা ছয় রাউন্ডের একটি পিস্তল।পায়ের ধার ঘেঁষে বয়ে যাচ্ছে এক তরল স্রোতধারা। যার উৎস, সামনে পরে থাকা নিথর যুবকের দেহ।পেশায় রমণি একজন ডিরেক্টর।হঠাৎ যুবকের দেহ খানিকটা নড়ে উঠতেই রমণির ঠোঁটের কোনে একচিমটি হাসি ফুটে উঠলো।
-"পারফেক্ট, এন্ড কাট ইট" বলে চেঁচিয়ে উঠলো ডিরেক্টর।

দৃশ্য শেষ হতেই স্পটবয় এসে হিরোইনকে এক গ্লাস জুস দিলো। মেঝেতে শুয়ে থাকা এ্যাক্টর পাশের চেয়ারে উঠে বসল।
সিনেমার পর্দায় এমন দৃশ্য দেখতে সবারই বেশ ভালোই লাগে। তবে বাস্তব জীবনে চেয়ারে বসে থাকা সে রমণির পরিবর্তে যদি কোনো এক লোক বসে থাকত, তবে কেমন হতো?
সবার আড়ালে হঠাৎ ডিরেক্টরের ঠোঁটের কোনে একচিমটি হাসি ফুটে উঠলো।

For Facebook post Click Here
______________________________________________________________________

লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল ফাহিম

রাত তখন প্রায় ৩টা এতক্ষণে পুরো শহরবাসি নিজেদের ঘুমের সাগরে ডুবিয়ে দিয়েছে কিন্তু মমিনের ঘুম নেই। বরাবরই থ্রিলার মুভি আর গল্প নিয়ে পড়ে থাকা ছেলেটা আজকে একটা মুভি দেখছে। হঠাৎ করে মমিনের বুক ধরফর করে উঠলো। 
না মুভির কোনো কাহিনীর জন্য না। 
সে আসলে যে বাসায় প্রায় ৩ বছর যাবৎ একা থাকে সেই বাসায় এই রাত ৩টার সময় দরজা খুললো কে??? 
দরজা খোলার কড়মড় শব্দে বুকের ভেতর চিনচিন করছে মমিনের। উঠে যে দেখতে যাবে সেই বলটুকু পাচ্ছে না সে। এতক্ষনে তার পুরো শরীর ঘেমে গেছে টপ টপ করে ঘাম পড়ছে শরীর থেকে।

এমন সময় হঠাৎ করে দরজায় আবার ঠক ঠক করে নক করার শব্দ শুনলো মমিন এবার লাফ দিয়ে উঠে পড়লো সে। উঠে কিছু বুঝতে না উঠতেই একটা মুচকি হাসি দিলো সে তখন বেলা ৩টা বাজে। ঐদিকে দরজার ওপাশে মমিনের আম্মু দাড়িয়ে আছে। স্বপ্নটা তাকে খুশি করতে বাধ্য করলো। সারাদিন থ্রিলার নিয়ে পড়ে থাকা নিজে কিছু লেখা বা করার স্বপ্ন পুরণ হতে যাচ্ছে তার।

For Facebook post Click Here
______________________________________________________________________

লেখকঃ সামিন রহমান

জীবনানন্দ নাকি অস্থির নিঃসঙ্গ ছিলেন। তার একটা ‘মরতে পারি’ টাইপ ফ্যানকে চিনি। সে আমার বন্ধু। সে নিজেও কবি। নাম ত্রপা। ছদ্ম নাম জীবন।
‘আচ্ছা, ‘জীবন’ তো ছেলে মানুষের নাম। তুই তো মেয়ে মানুষ। তোর ছদ্মনাম জীবনানন্দের বউয়ের নামে রাখ। লাবণ্য গুপ্ত। কি সুন্দর নাম।’
ভারী চশমাটা পাড়ি দিয়ে বিজ্ঞ চোখে ত্রপার রেডি উত্তর, ‘সেক্সিস্ট হয়ে যাচ্ছিস তপু।’
জীবনানন্দ হয়ত নিঃসঙ্গ ছিলেন। ত্রপা মোটেও নিঃসঙ্গ না। এই আসরে লাফায়, তো ঐ আড্ডায় নাচে। ওকে একা পাওয়া কঠিন। সঙ্গী সাথি না থাকলে পশু পাখি ঠিক জুটিয়ে নেয়। ওর পোষা কুকুর ২ টা। বারাণ্ডা ভর্তি এই পাখি, সেই পাখি। কদিন হল কোথা থেকে একটা কচ্ছপ কিনে আনল।

আজ ত্রপার বিয়ে। দাওয়াত দেয়নি। হয়ত ভুলে গেছে। ওর এত চেনা জানা। দোষ দেইনা।

এখন রাত। ছাদে ম্যাট পেতে শুয়ে আছি। মশা নাই আজ।
জীবনানন্দদের রাতে মশা থাকে না। থাকে হুতুম পেঁচা। অস্তচাঁদ। বেগুনী ছায়া। নীল নক্ষত্র, নীহারিকা।
শিশিরের শব্দের মত হৃদয় ভাঙার শব্দ।

For Facebook post Click Here
_____________________________________________________________________

লেখকঃ মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ অপূর্ব

⃟⃞  জানালা

আমার জানালায় রোজ পাখিরা ভীড় করে,আমি রোজ একটা লাল রঙের পাখির ডাক বোঝার চেষ্টা করছি।এক এক সময় এক এক রকম ডাকে।তবে আমার ওদের কিচির মিচির বেশ লাগে। যেমনটা তোমার কথার আওয়াজ।প্রচন্ড মাইগ্রেনে আমাদের কথার তুবড়ি চলতেই থাকে।
একে অপরে একসাথে না থেকেও আজ একসাথে।তোমার আকাশের মেঘগুলো রোজ আমার বাসার সামনে আসে।আমি ওদের কাছে আমার নিঃশ্বাস পাঠাই।এ কদিনে একটা জড় বস্তু জানালা আমার খুব কাছের হয়ে গেছে, বাতাসে মিশে থাকা তোমার নিঃশ্বাস রোজ  আমার বুকে এসে অনুভূতি বাড়ায়।



For Facebook post Click Here

_______________________________________________________________________

লেখকঃ  মুহাম্মদ খুশবু রায়হান

  ⃞⃟   শেকল ভাঙ্গার গান 
.
রুপশা নদীর পাড় ঘেঁষে প্রায় দৌড়ে চলেছে নাবিল। এই ভোরবেলা প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে কোনো রকম আন্দাজ করে কালীবড়ি ঘাট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারলেও, কোনো একটা লঞ্চ কিম্বা ফেরীতে চেপে আগে শহর ছেড়ে পালাতে হবে! গত পাঁচ বছরে মোসাদ্দেক আলীর গ্যারেজে কাজ করে হাত পেকে গেছে তার। যে কোনো গাড়ির ইঞ্জিনের শব্দ শুনেই বলে দিতে পারে সমস্যা কোন জায়গায়। “যে কুনু শহরে ঢুকতি পারলি কাজ জুটায় নিতে পারব”। প্রচন্ড বাজ পড়ার শব্দের সাথে মনের মাঝে ভেসে উঠল মোসাদ্দেক আলীর থ্যাতলানো বিকৃত মুখের ছবি। হাতের কাছে পড়ে ছিল পুরোনো ইঞ্জিনের লোহার পিস্টন, সেটা দিয়েই... ! “এক বছর হইল মহাজনের বউ মরছে, আর দুই মাস হইল ব্যাডারে শয়তানে পাইছে। রোজ রাইত হইলেই আমার ঘরে আইসে যত রকম নোংরা কাজ কইরে আমার শইলডারে নোংরা কইরি দিসে শুওরডা!” বৃষ্টির জোর বাড়তে থাকে; শীতল জলধারায় ধুয়ে যায় নাবিলের কিশোর চেহারায় লেপ্টে থাকা রক্ত, আর শরীরে লেগে থাকা নোংরা স্পর্শ।

For Facebook post Click Here


________________________________________________________________________

লেখকঃ

  ⃞⃟  

For Facebook post Click Here




























...

Comments

Popular posts from this blog

বন্ধুত্ব ও বাস্তবতা | পর্ব - ১

Less is More : The way of Minimalistic Lifestyle

হ-য-ব-র-ল জীবন