Posts

Showing posts from June, 2021

চাহিবা মাত্র ইহার বাহককে টাকা দিতে বাধ্য থাকিবে

Image
বাংলাদেশ ব্যাংক চাহিবামাত্র ইহার বাহককে...... টাকা দিতে বাধ্য থাকিবে "টাকায় কথাটি যে কারণে লেখা থাকে" টাকায় লেখা থাকা ‘চাহিবামাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে’ লেখাটি নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন। তবে কখনো কী ভেবে দেখেছেন, ১,২ ও ৫ টাকা বাদে বাকি সব টাকার নোটে কেন এই কথাটি লেখা থাকে? জেনে নিন এই প্রশ্নের সহজ উত্তর।  আমরা জানি বাংলাদেশের মুদ্রা ছাপার একমাত্র প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক। কথা হলো এই মুদ্রা আসলে কী? মুদ্রা বলতে কী বোঝায় সেই সম্পর্কে সবারই একটু ধারণা রাখা ভালো। বাংলাদেশের সরকারি মুদ্রা হলো দুটি। ১, ২ ও ৫ টাকার নোট কিংবা কয়েন হলো সরকারি মুদ্রা আর বাকিগুলো হলো সমপরিমাণ টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ছাপানো বিল অব এক্সচেঞ্জ। বাংলাদেশ ব্যাংক টাকার বিপরীতে নোট ছাপে। তাই এটা বাংলাদেশের জনগণের কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়। মনে করুন, আপনি কোনো কারণে ব্যাংক নোটের উপরে আস্থা রাখতে পারছেন না। তাই আপনি ১০০ টাকার একটি নোট বাংলাদেশ ব্যাংক কাউন্টারে জমা দিয়ে বিনিময় চাইলেন। বাংলাদেশ ব্যাংক চাহিবামাত্র এর বাহককে অর্থাৎ আপনাকে সমপরিমাণ ১, ২ ও ৫ টাকা প্রদান করে দায় থেকে মুক্ত হবে। এই হচ

The History of Elephant Road (NewMarket-Romna), Dhaka by FahimsCanvas

Image
মোঘল ও ব্রিটিশ পিরিয়ডে ঢাকার প্রশাসনে “খেদা” বলে একটা বিশেষ বিভাগ ছিল। এই “খেদা বিভাগ” এর কাজ ছিল পার্বত্য চট্রগ্রাম হতে বন্য হাতি ধরে এনে পোষ মানানো ও প্রশিক্ষন প্রদান করা। হাতি ধরার প্রধান কৌশল ছিল কুনকি বা পোষা হস্তিনী দ্বারা বন্য হাতিকে খেদিয়ে নিয়ে আসা আই মিন ফাঁদে ফেলা ।এই সব বেচারা পুরুষ হাতি গুলোকে খেদিয়ে যে জায়গায় এনে রাখা হত তা পিলখানা নামে পরিচিত ( বর্তমানেও সেই নাম রয়ে গেছে)।পিলখানার এই হাতিগুলোর সামরিক ভূমিকা ছিল অনন্য। ১৮৬০ এবং ১৮৭০ এর দশকে এই হাতিগুলোকে প্রায়ই পাহাড়ী উপজাতি দমন অভিযানে প্রেরিত হত।তাছাড়া উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের যাতায়াতের বাহন হিসেবে এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির আগমনে (যেমন ভাইসরয় বা লেফটেন্যান্ট গভর্নরের পরিদর্শনের সময়) এই হাতিদের দিয়ে প্যারেড ও নানা ধরনের খেলাধুলা ও প্রদর্শনী হত।ঢাকার আশেপাশের জমিদাররাও তাদের ব্যক্তিগত সংগ্রহের হাতিগুলোকে অর্থের বিনিময়ে পিলখানায় পোষ মানানো ও প্রশিক্ষনের জন্য পাঠাতেন। পিলখানার এই হাতিগুলোর দেখভালের জন্য ১৮৮১ সালে ঢাকার খেদা বিভাগে একজন সুপারিন্টেন্ডেন্ট, একজন হেড এসিস্ট্যান্ট, দুইজন ভেটেরিনারি সার্জন,