হ-য-ব-র-ল জীবন
"হ-য-ব-র-ল জীবন" কমলাকান্তের অহিফেন আর হযবরল-র দুপুরে ঘুম – মোদ্দা কথা ও সব ঘটে ওঠবার জন্য স্নায়ু শিথিল করবার লাগে। আরশির কাঁচা পোস্ত বাটা ভাল লাগে আর ভোরের ঘুম; সুতরাং ওর জীবনে কোনও জাদু বাস্তব নেই। আরশি সকালে ঘুম ভাঙলে বিছানা ছাড়ে না, ল্যাজে-গোবরে হবার সম্ভাবনার আগ পর্যন্ত মাঠ কামড়ে পড়ে থাকে। ওই এপাশওপাশ করবার সময়টা যত দীর্ঘ করা যায় করে। সকালের সমস্ত কাজেই আরশির আলসেমি। কলঘরের কাজ না হয় হল তারপরের এক মস্ত কাপের আমেজি চা! সেটাও নিজেকে করতে হয়, তাও আবার কেবলমাত্র নিজেরই জন্য। আরশি নিজেকে খুনসুটির সঙ্গে তুলনা করে খিটখিটে হতে থাকে। খুনসুটি ওর দরজার সামনে দিয়ে মোচড় তুলে হেঁটে যায়, লীলায়িত। সকালটা খুব এলায়িত হলে আরশি চায়ের কাপ হাতে ছাতের আলসেতে হেলান দেয়। খুনসুটি কাছেপিঠে থাকলে ত্বরিত এসে আনুগত্য জানিয়ে যায়। জানিয়ে যেতে থাকে। পেট একেবারে খালি থাকলে এক-আধ টুকরো বিস্কুটে আগ্রহী হয়, নইলে কার্নিশ বেয়ে পাশের মন্দির বাড়িতে হানা দেয়। সে বাড়ির তিনতলায় ছোটছেলে কবিতা লিখতে বসার আগে হাত মেরে নেবার সময় খুনসুটির ছায়া সরে যেতে দেখে খড়খড়ির ফাঁক দিয়ে। মনোযোগে...